can't preview the image.

কিভাবে আমি শিশু সংগঠক হলাম'

‘বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর মেলা’ গঠন ও কিছু স্মৃতি

(পঞ্চম পর্ব)

১. 

বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর মেলা প্রতিষ্ঠার পর প্রথম সফর চট্টগ্রাম মহানগর আয়োজিত বিজয় দিবসের অনুষ্ঠান শেষ করে রাতে ঢাকায় ফিরলাম আমরা তিন কেন্দ্রীয় কর্মকর্তা ওবায়েদ আনন্দ, মহীউদ্দিন মানু ও আমি। ঢাকায় ফিরে কয়েক দিন পর কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ বৈঠকে বসলাম। সাংগঠনিক কাজ নিয়ে আলোচনা হয়। সারাদেশে মেলার শাখা সংখ্যা বাড়াতে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বিভিন্নভাবে শাখাও গড়ে উঠছে। দেখতে দেখতে বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর মেলার প্রতিষ্ঠার বছরটি শেষ হয়ে নতুন বছর শুরু হলো। 

১৯৯১ সাল। নির্বাচনের বছর। স্বৈরাচার জামানা শেষে গণতন্ত্রের সুবাতাস বইছে দেশে। নির্বাচন হবে। একটি গণতান্ত্রিক সরকার গঠিত হবে। তোড়জোড় চলছে নির্বাচনের। দেশের প্রথম তত্ত¡াবধায়ক সরকারের প্রধান শাহাবুদ্দিন আহমদের শাসনামলে অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় নির্বাচন। সকল দলের অংশগ্রহনে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এই নির্বাচন। নির্বাচনের প্রস্তুতি চলছে সকল দলের। বছর শুরু হতে না হতেই দেশের মানুষ নির্বাচনী উৎসবে মেতেছে। এই নির্বাচনী উৎসবকে কাজে লাগিয়ে বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর মেলার শাখা সংখ্যা বৃদ্ধির পরিকল্পনা করি। ঢাকায় শাখা সংখ্যা বাড়াতে বিভিন্ন এলাকায় নির্বাচনী ক্যাম্পগুলোর সাথে যোগাযোগ শুরু করি। আমি আর মানু প্রতিদিন অফিস শেষে রিক্সা নিয়ে বের হই। ছুটির দিন সকাল থেকে শুরু করি। আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ক্যাম্পে যেখানেই গেছি সব জায়গায় বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর মেলার শাখা করার সহযোগিতা পেয়েছি। নির্বাচনের পূর্বে ঢাকা মহানগরীতে ৪১টি শাখা গড়ে উঠে। 

নির্বাচন আর বেশি দিন নেই। ২৭ ফেব্রæয়ারী নির্বাচন। এক সপ্তাহ আগে শহীদ দিবসে কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু নতুন শাখাগুলো নিয়ে একটি বড় অনুষ্ঠান আয়োজনের সাহস হচ্ছেনা। নতুন শাখাগুলো নিয়ে অনুষ্ঠান আয়োজন করা হলে টাকা পয়সারও প্রয়োজন হবে। তবুও শহীদ দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। 

বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর মেলার অফিস শান্তিবাগে। ঢাকায় প্রথম অনুষ্ঠান আয়োজনের প্রস্তুতি নিতে মানুর আবাসিক হোটেল কক্ষে বিমানদার বাংলাদেশ টাইমস এর অফিসে প্রতিদিন আলোচনা হয়। এসব বৈঠকে বিমানদা ছাড়াও মাঝে মাঝে সৈয়দ শফিউল আজম হেলাল ওবায়েদ আনন্দ আসতেন। সবাই অনুষ্ঠান সফল করার বিষয়ে মতামত দিতেন।

সকল শাখায় পত্র লিখে কেন্দ্রীয় কমিটি আয়োজিত শহীদ দিবসের প্রথম অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়।  তবে অনুষ্ঠানের উপস্থিতি কেমন হবে সেই শংকায় দুটি শাখার উপস্থিতি নিশ্চিত করতে যোগাযোগ করি। শাখা দুটি হলো শান্তিনগর শাখা টি এন্ডটি  কলোনি শাখা। শান্তিনগর শাখার দায়িত্বে ছিলেন কমল। আর টিএন্ডটি শাখার দায়িত্বে ছিলেন এজাজ। দুজনই নিশ্চিত করেছেন তারা বেশ কিছু শিশু কিশোর নিয়ে আসবে শহীদ দিবসের অনুষ্ঠানে।  

আশ^স্থ হয়ে শহীদ দিবস আয়োজনের প্রস্তুতি শুরু করি। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে যাবার স্থান হিসেবে নির্ধারণ করি দৈনিক বাংলার মোড়। এখানেই বিমান ভট্টাচার্যের বাংলাদেশ টাইমস অফিস। কেন্দ্রীয় মেলা আয়োজিত প্রথম অনুষ্ঠান ১৯৯১ সালের শহীদ দিবসের অনুষ্ঠান। 

আগত শিশু কিশোরদের জন্য মহীউদ্দিন মানু খাবারের দায়িত্ব নিলেন। আমি ফেস্টুন প্ল্যাকার্ড ব্যানারের দায়িত্ব নিলাম।

একুশে ফেব্রæয়ারী সকাল ৮টায় সবাই দৈনিক বাংলার মোড়ে জড়ো হবার সিদ্ধান্ত হলো। নির্ধারিত সময়ের অনেক আগে আমি মানু পৌঁছে গেলাম। মানুর হোটেলের একজন বয় ভ্যান গাড়িতে করে খাবারের প্যাকেটগুলোর দায়িত্বে ছিল। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি নতুন শাখার নেতৃবৃন্দ দুএকজন করে শিশু কিশোর নিয়ে উপস্থিত হয়েছে দৈনিক বাংলার মোড়ে। তখন আটটার কাঁটা ছুঁইছুঁই। যে দুটি শাখা শিশু কিশোরদের নিয়ে আসার নিশ্চয়তা দিয়েছিল তারা এখনো পৌঁছেনি। কিছুক্ষণ পর শান্তিনগর শাখার কমল ১০/১২জন শিশু কিশোর নিয়ে দৈনিক বাংলার মোড়ে এসে হাজির হলেন। টিএন্ডটি শাখা এখনো এসে ন্ াপৌঁছায় একটু দুশ্চিন্তায় পড়ে যাই। ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় সকল নেতৃবৃন্দ এসে উপস্থিত হলেন। 

দৈনিক বাংলার রাস্তা দিয়ে বিভিন্ন সংগঠন শহীদ মিনারের দিকে যাচ্ছে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে। টিএন্ডটি শাখার জন্য অপেক্ষায় পথ চেয়ে থাকতে থাকতে একটি মিছিল চোখে পড়লো। মিছিলটি আসছে বাংলাদেশ ব্যাংকের দিক থেকে। আমরা সবাই সেই মিছিলের দিকে তাকিয়ে আছি। মিছিলটি এতো বড় যে এটি টিএন্ডটি শাখার যে নয় সেই অনুমানই মনে হচ্ছে

মিছিলটি প্রায় যখন কাছাকাছি আসে, তখন লম্বাকৃতি একজনকে মনে হচ্ছে টিএন্ডটি শাখার আহবায়ক এজাজের মতো। মিছিলটি দ্রæ এগিয়ে আসছে দৈনিক বাংলার মোড়ের দিকে। কাছে আসতেই আমাদের ধারণা সত্যি প্রমাণ করে টিএন্ডটি শাখা থেকে এজাজের নেতৃত্বে মিছিলটি দুশতাধিক শিশু কিশোরসহ দৈনিক বাংলার মোড়ে এসে পৌঁছে। এক বিশাল ্যালীতে পরিণত হলো কেন্দ্রীয় বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর মেলা আয়োজিত ভাষা দিবসের ্যালীতে। ্যালীর সবার হাতে ফ্যাস্টুন শোভা পাচ্ছে। সুন্দর সুশৃংখল ্যালীটি ধীর গতিতে এগিয়ে চললো শহীদ মিনারের দিকে। শিশু কিশোরদের জন্য একটু কষ্টই হচ্ছে এতো লম্বা পথ চলতে। কিন্তু তাদের মধ্যে কোন ক্লান্তি নেই। অত্যন্ত  উচ্ছ¡লতায় ওরা হেটে যাচ্ছে ভাষা সৈনিকদের শ্রদ্ধা জানাতে। 

বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর মেলার পক্ষ থেকে প্রথম ভাষা সৈনিকদের শ্রদ্ধা জানালো শিশু কিশোরসহ কেন্দ্রীয় ঢাকা মহানগরীতে গড়ে ওঠা শাখাগুলোর নেতৃবৃন্দ।

পরদিন সকল জাতীয় দৈনিকে বঙ্গবন্ধুর শিশু কিশোর মেলার ্যালীর ছবিসহ সংবাদ ছাপা হলো।

 

২. 

শহীদ দিবস পালনের এক সপ্তাহ পর  অনুষ্ঠিত হলো জাতীয় নির্বাচন। সবার ধারণার বাইরে ২৭ ফ্রেব্রæয়ারীর নির্বাচনে আওয়ামী পরাজিত হলো। সেই নির্বাচনে সুক্ষœ কারচুপির কারণে আওয়ামী লীগ পরাজিত হয়েছিল। আওয়ামী লীগের এই পরাজয় কেউ মেনে নিতে পারেনি। আওয়ামী লীগ ক্ষমতারোহন করলে বঙ্গবন্ধুর খুনের বিচার হবে, বিচার হবে যুদ্ধাপরাধীদের। সে বিষয়টি বুঝতে পেরে যুদ্ধাপরাধী, বঙ্গবন্ধুর খুনীদের যৌথ ষড়যন্ত্রে সুক্ষè কারচুপি করে আওয়ামী লীগকে নির্বাচনে হারানো হয়েছিল। আওয়ামী লীগ নির্বাচনে পরাজিত হবার কারণে সদ্য প্রতিষ্ঠিত জাতির জনকের নামে গড়ে ওঠা সংগঠন বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর মেলার আগামী দিনের পথচলা নিয়ে একটু সংশয়ের মধ্যে পড়ে যাই। আমার হতাশ মন দেখে মানু অভয় দিয়ে বলে, চিন্তা করনা আমাদের সাংগঠনিক কাজ আরো জোরদার করবো। 

পরের মাসেই জাতির পিতার জন্মদিবস। শান্তিবাগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আলোচনা সভার আয়োজন করে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন পালন করা হয়। 

২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস। স্বাধীনতা দিবস পালনের জন্য একটি ভ্রাম্যমান সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজনের সিদ্ধান্ত হয়। রাজারবাগ পুলিশ লাইনের মেইন রাস্তায় একটি ট্রাক অপেক্ষমান।  আমাদের শিশু কিশোর শিল্পীরা ট্রাকে চড়ে শুরু করে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। বিভিন্ন রাস্তার মোড়ে মোড়ে মুক্তিযুদ্ধের গান পরিবেশন। সঙ্গীত পরিবেশন করতে করতে এক পর্যায়ে ট্রাক এসে থামে ধানমন্ডির বত্রিশ নম্বরে। উদ্দেশ্য বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার সাথে সৌজন্য সাক্ষাত করা। তখন বত্রিশ নম্বর বাড়িতে থাকতেন বঙ্গবন্ধুকন্যা। গেইটে বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর মেলার শিশুরা আসছে শুনে তিনি অপেক্ষা করতে বললেন। কিছুক্ষণ পর তিনি বেড়িয়ে এলেন। শিশুদের দেখে আমাদের উদ্দেশ্যে বঙ্গবন্ধুকন্যা বললেন, তোমরা একটু সময় নিয়ে আসতে পারলেনা! আমি তো এখন বঙ্গভবনে যাবো। তিনি শিশুদের সাথে এসে দাড়ালেন। হাসিমুখে সবার সাথে স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা বিনিময় করলেন। ছোট্ট সোনামনিদের সাথে ফটোশেসনে অংশ নিলেন। সেই ঐতিহাসিক ছবিটি আমি ক্যামেরাবন্দি করতে একটুও সময় ক্ষেপন করিনি। বঙ্গবন্ধুকন্যার সাথে বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর মেলার শিশু প্রতিনিধি নেতৃবৃন্দের সেই সাক্ষাতকার পর্বটি অত্যন্ত স্মরণীয়।

 

সংগঠনের সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধির লক্ষ্যে শাখা গঠনের প্রক্রিয়া অব্যাহত রেখেছি। পত্রিকায় সংগঠন সংবাদের শাখা গড়ে তোলার সংবাদ প্রায়ই ছাপানো হয়ে থাকে। সেই সংবাদে প্রত্যন্ত অঞ্চলে শাখাও গঠিত হচ্ছে। এখনকার মতো তখন যোগাযোগ ব্যবস্থা আধুনিক ছিলনা। চিঠিপত্রই বড় ভরসা। যে সকল নতুন শাখা গড়ে উঠতো শাখাগুলোকে চিঠি লিখে তাদের সাংগঠনিক কাজ জানিয়ে দেয়া হতো। চিঠিপত্র পাঠানো হতো হস্তাক্ষরে। একান্নব্বই সালে প্রায় অর্ধশতাধিক শাখা গড়ে গঠন করা হয়। তম্মধ্যে থানা সংখ্যাই তুলনামূলক বেশি ছিল। 

দেখতে দেখতে কলংকিত আগস্ট মাস দোর গোড়ায় কড়াঘাত করছে।  জাতির জনকের নামে সংগঠন এই মাসেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছে গত বছর। অর্থাৎ ১৯৯০ সালের আগস্ট। দিবসটি পালনের কর্মসূচি নেয়া হয় বাংলাদেশ শিশু একাডেমিতে। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মেলার প্রতিষ্ঠাতা উপদেষ্টা কবি শামসুর রাহমান। শিশু একাডেমি কানায় কানায় পরিপূর্ণ। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান কেক কাটার মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর মেলার প্রথম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত হয়।

 

কদিন পরই শোক দিবস। বঙ্গবন্ধুহত্যার প্রতিবাদ বিচারের দাবীতে একটি কর্মসূচি নিতে হবে এমন সিদ্ধান্ত নেয়াই স্বাভাবিক। কেন্দ্রীয় মিটিং করে সেই রকম একটি কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা হলো। সিদ্ধান্ত হলো প্রেসক্লাবের সামনে থেকে একটি শোক ্যালী হবে। সেই ্যালী হবে শিশুদের নিয়ে। শিশুরা জাতির পিতা হত্যার প্রতিবাদ জানাবে। ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন শাখা কেন্দ্রীয় শিশু শিল্পীদের নিয়ে ১৫ আগস্ট প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজন করা হয় শোক ্যালী। সকাল ১১টায় শতাধিক শিশু কিশোর নিয়ে ্যালী শুরুর প্রাক্কালে ফটো সাংবাদিকরা ্যালী থামিয়ে ফটো তোলেন। পরদিন সেই ছবি সকল জাতীয় দৈনিকে জায়গা করে নেয়। আগস্ট শেষ হতে না হতেই বিজয়ের ডিসেম্বর সমাগত। বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর মেলা যেকোন কর্মসূচি নেবার আগে উপদেষ্টামন্ডলীর পরামর্শ নেয়া হতো। কখনো উপদেষ্টাদের বাসায় গিয়ে। কখনো বা টেলিফোনে। কেন্দ্রীয় কর্মসূচি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার পাশাপাশি অন্যান্য উপদেষ্টাদের কাছ থেকেও পরামর্শ নেয়া হতো। সেরকম কয়েকজন উপদেষ্টা হচ্ছে। সাবেক প্রধান বিচারপতি কামালউদ্দিন হোসেন, বিচারপতি কে এম সোবহান, মুস্তাফার সারওয়ার, জহীর কাজী অন্যতম। 

১৯৯১ সালের ডিসেম্বর মাসে বিজয় দিবস পালনের পরামর্শ নিতে তৎকালিন প্রধান উপদেষ্টা এম আনিসুজ্জামানের বাসায় গিয়েছিলাম। তিনি সবকিছু ভেবে পরামর্শ দিলেন একটা বিজয় ্যালী করতে। তখন কোন মিলনায়তন ভাড়া করে অনুষ্ঠান করা আমাদের সামর্থ্যে হচ্ছে না। আমরা প্রধান উপদেষ্টার পরামর্শে দৈনিক বাংলার মোড় থেকে একটি বিজয় উৎসব ্যালী আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেই। শুধু প্রধান উপদেষ্টাকে ্যালীতে অংশ নিতে আমন্ত্রণ জানিয়েছি। তিনি রাজী হলেন। এবং যথারীতি প্রধান উপদেষ্টার অংশগ্রহনে একটি বর্ণাঢ্য বিজয় ্যালী অনুষ্ঠিত হলো। এভাবে বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর মেলা বিজয় দিবস পালনের মধ্য দিয়ে আরো একটি বছর অতিক্রম করলো।